Friday, January 26, 2024

Friday, December 23, 2022
টয়লেটের ভিতরে ভুলেও পাচটি কাজ করবেন না।
টয়লেটের ভিতরে ভুলেও পাচটি কাজ করবেন না।
সাবধান! গোসলের সময় এ চারটি ভুল কখনই করবেন না। যদি এই চারটি ভুল আপনি
করেন, তাহলে ভয়ংকর বিপদ হতে পারে। প্রিয় দর্শক আজকের ভিডিওটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি
ভিডিও। তাই ভিডিওর প্রত্যেকটি কথা মনে রাখার চেষ্টা করবেন। ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
এক নম্বর হচ্ছে; যখন গোসল করতে ঢুকলাম তখন এই দোয়াটি অবশ্যই পাঠ করবো।
কোন ভাবেই ভুলে যাওয়া চলবে না। দোয়াটি হলো; “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবশি
ওয়াল খাবাই “ অর্থ; হে আল্লাহ! তোমার কাছে নাপাক নর-নারী জীন শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থণা
করি। সুবহান আল্লাহ।
এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন। এই দোয়াটিতো টয়লেটে ঢোকার সময় পড়তে হয়।
কিন্তু গোসল করতে গেলে এই দোয়াটি আমরা কেন পড়বো? এর কারণ হলো আমাদের দেশে অধিকাংশ যায়গায়
গোসলখানা এবং টয়লেট একসাথে থাকে। এজন্য যাদের টয়লেট এবং গোসলখানা একসঙ্গে এটাস্ট করা,
তারা অবশ্যই বাথরুমে ঢোকার সময় এ দোয়াটি পড়বেন।
কিন্তু এই দোয়াটি পাঠ করলে কি হয়? বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন; জীনেরা টয়লেটের মধ্যে, ময়লার মধ্যে বা দুর্গন্ধযুক্ত জায়গায় সবচেয়ে বেশি
থাকে। তাই তোমরা যখন এই দোয়াটি পাঠ করবে, তখন আল্লাহ রব্বুল আলামিন তোমাকে হেফাজত করবে।
যেহেতু তুমি আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করেছো। সুতরাং এই দোয়াটি পড়ার ফলে
গোসলখানায় থাকা দুষ্ট জীন আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
দুই নাম্বার হচ্ছে, যে বাড়ীতে গোসলখানা এবং টয়লেট একসঙ্গে আছে, সে টয়লেট
গোসলখানাতে কোরআনের কোন আয়াত বা হাদিস নিয়ে প্রবেশ করবেন না। যেমন আপনার লকেটে আল্লাহ
তায়ালার নাম লেখা আছে, সুতরাং ওই লকেট নিয়ে গোসল খানায় বা টয়লেটে প্রবেশ করবেন না।
এ জাতীয় আল্লাহ কিংবা মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ নাম সম্বলিত লকেট পড়ার বেপারে আলেম ওলামাদের
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এছাড়া আপনার আংটিতে আল্লাহ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
নাম যদি থেকেও থাকে। ওই আংটি নিয়ে আপনি টয়লেটে ঢুকতেই পারবেন না। যে গোসলাখানা টয়লেট
এক সঙ্গে রয়েছে, সেখানে তো অবশ্যই না।
তবে হ্যা, যদি এমন গোসলখানা হয়, যেখানে টয়লেট নেই শুধু গোসলখানা, সেখানে
চাইলে আপনি সে আংটি পকেটে সিয়ে ঢুকতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না।
তিন নম্বর হচ্ছে; উলঙ্গ হয়ে গোসল করবেন না। উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে এর ফলে
যে বিপদটি হয় সেটি হলো; উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে লজ্জা কমে যায়। আর যার লজ্জা কমে যায়,
তার আস্তে আস্তে ঈমান কমে যায়। এবং তার নূর কমে যায়। ফলে সে লোকটি অতি তারাতারি যেকোন
গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। এতে করে সে গুনাহকে ভয় করে না এমনকি বেঈমান হয়ে মৃত্যু
বরণ করার আশংকা থাকে। এজন্য কখনই উলঙ্গ হয়ে গোসল করবেন না।
চার নম্বর হচ্ছে; টয়লেটের ভেতরে ঢুকে কুরআন তিলাওয়াত বা জিকীর করবেন না।
যে বাড়ীতে টয়লেট এবং গোসলখানা এক সঙ্গে, ওই গোসলখানায় মধ্যে ঢুকে কখনোই জিকির করবেন
না। এমনিতে তো টয়লেটের ভেতর ঢুকে কোরআন তিলাওয়াত বা জিকির করা না জায়েজ। এখন অনেকে
বলতে পারেন, গোসলখানার ভেতরে তো টয়লেট নেই, সেখানে কি আমরা জিকির করতে পারবো? এর উত্তর
হলো কখনই না।
তাই এই কাজগুলো কখনই করবেন না। কারণ আমরা মুসলমান জাতী তাই আমরা চলবো
আমাদের রবের হুকুম মোতাবেক, এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত
মোতাবেক। যদি আল্লাহ এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত মোতাবেক
চলতে পারেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার কোন বিপদ নেই। আর যদি কোন বিপদ আসেও সে বিপদে অবশ্যই
আপনার জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে। সে বিপদ হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে
আপনার জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।
আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলে গিয়েছেন, অবশ্যই তা
আমাদের কল্যাণের জন্য বলেছেন। আপনি যদি কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলেন অবশ্যই আপনার জীবন
সুন্দর হয়ে যাবে। এতে করে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হেফাজত করবে। আর
জীন জাতি তিনটি জায়গাতে থাকে। এর মধ্যে একটি জায়গা হলো; টয়লেট এছাড়া প্রস্রাবখানা,
নর্দমা, অথবা ময়লা-আবর্জনা যেখানে ফেলা হয়, ঐসকল জায়গাতে জীনেরা বসবাস করে।
তাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা যদি দোয়া পড়ে
টয়লেটে প্রবেশ করো, তাহলে তোমাদের বিপদের কোন আশংকা নেই। অবশ্যই তোমার রব তোমাকে হেফাজত
করবে। আর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো অবশ্যই আমাদের কল্যাণের জন্য এই
পৃথিবীতে এসেছেন। এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো গোটা জিন্দেগী শুধু
মাত্র তার উম্মতের কল্যাণের জন্যই কাজ করে গিয়েছেন।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন গোসলখানা অথবা টয়লেটে যাওয়ার সময় আমাদেরকে
সতর্কতা অবলম্বন করার তৌফিক দান করুক, আমিন।

Thursday, December 22, 2022
আদর্শবান স্ত্রীর ১০টি গুন। যে নারীর ভেতর এই ১০টি গুন থাকবে
আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন ।
আদর্শবান স্ত্রীর ১০টি গুন।
যে নারীর ভেতর এই ১০টি গুন থাকবে, সে জান্নাতে যাবে, ইনশাআল্লাহ
আমি
আপনাদেরকে অনুরোধ করবো ভিডিওটি একেবারে শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য। আজকের আমাদের
ভিডিওর লাইক টার্গেট দশ হাজার,
আশা করি আপনারা ভিডিওটিতে এখনেই লাইক দিয়ে
টার্গেট পূরণ করে দেবেন এবং চ্যানেলটি
সাবস্ক্রাইব করে রেখবেন । তো
চলুন শুরু করি ।
একজন আদর্শবান স্ত্রীর মধ্যে দশটি গুন রয়েছে। একজন পুরুষ চায় সে যেন একজন
আদর্শবান স্ত্রীকে পায়। আবার একজন নারীও চায় সে যেন একজন আদর্শবান স্বামী পায়। তাই
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন; বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, গোটা পৃথিবীর মধ্যে যত নেয়ামত আছে, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত
হচ্ছে, একজন নেককার স্ত্রী।
যে ঘরে একজন নেককার স্ত্রী রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন সে ঘরটি একটি জান্নাতের বাগান হয়ে যায়। আর যে ঘরে একজন বদকার স্ত্রী রয়েছে, সে
ঘরটি গোটা একটি জাহান্নামের গর্ত হয়ে যায়।
একটা স্ত্রী পারেন তার ঘরটি সুন্দর করে সাজাতে। আবার একজন স্ত্রীই পারেন
একটি সুন্দর সংসারকে ধ্বংশ করে দিতে। এজন্য প্রত্যেকটি স্বামী চান, তিনি যেন একজন নেককার
স্ত্রী পান।
প্রিয় দর্শক বলছিলাম একজন আদর্শ স্ত্রীর দশটি গুন সম্পর্কে। সে গুন গুলো
হলো;
এক নম্বর; পাচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। একজন আদর্শবান স্ত্রীর এক নাম্বার
আদর্শ হচ্ছে, পাচ ওয়াক্ত সালাত খুশু খুজুর সাথে আদায় করবে। এবং সে যেকোন পরিস্থিতিতে
থাকুক না কেনো, যতই কষ্ট হোক না কেন, তিনি এই নামাজ কোনভাবেই ছাড়বেন না।
দুই নাম্বার হচ্ছে; স্বামীর কথা শোনা এবং আনুগত্য করা। যে স্ত্রী স্বামীর
কথা শুনবে, স্বামীকে ভালোবাসবে, কিন্তু স্বামী যদি অন্যায় করতে বলে, সেটা না করে তাকে
বোঝাবে এবং স্বামীর ভালো উপদেশগুলো অবশ্যই পালন করবে, বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তাদেরকে শ্রেষ্ঠ রমনী বলেছেন। আর যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকে অমান্য করে
তার উপরে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লানত দিয়েছেন।
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন আমি জাহান্নাম
দেখতে গেলাম, তখন সেখানে আমি জাহান্নামীদের মধ্যে অধিকাংশ নারীদের দেখতে পেলাম। তার
একটি কারণ তারা স্বামীদের আনুগত্য করে না। প্রিয় দর্শক আমাদের দেশে এমন অনেক স্ত্রী
আছেন, যারা স্বামীকে অভিসাপ দিয়ে থাকেন।
তিন নম্বর হচ্ছে; আদর্শবান স্ত্রীর
তিন নম্বর গুন হলো, সবসময় স্বামীকে খুশি করার চেষ্টা করা। তারা আচার-আচরণ, কথা বার্তার
এবং খিদমতের মাধ্যমে তাদের স্বামীকে খুশি করার চেষ্টা করবে। স্বামীর মন খারাপ তখন একজন
আদর্শবানন স্ত্রী চেষ্টা করে, কিভাবে স্বামীর মন ভালো করা যায়। আবার কিছু স্ত্রী আছে,
স্বামীর মন খারাপ কিন্তু সে কোনভাবে তার স্বামীর মন ভালো করার চেষ্টা করেনা। উল্টো
সেও আরেক কোণার মধ্যে নিজের মত বসে থাকে, এমনকি তার কোন খোজ খবর নেয় না। সে কখনো একজন
আদর্শবান স্ত্রী হতে পারে না। আদর্শবান স্ত্রী কেবল মাত্র তারাই যারা স্বামীর সুখটা বুঝবে, এবং দুঃখটাও বুঝবে। তাই
সুখের সময় যেমন স্বামীর পাশে থাকবে, তেমনি দুঃখের সময় সর্বদা তার পাশে থাকবে।
চার নাম্বার হচ্ছে; ঝগড়া এবং রাগারাগি থেকে বিরত থাকা। একজন আদর্শবান স্ত্রী কখনই তার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া বা রাগারাগি
করতে পারে না। যখন তাদের স্বামীর রাগ থাকবে, তখন তারা চুপ থাকবে। এবং যখন পরিস্থিতি
ঠান্ডা হয়ে যাবে। তারপর স্বামীর ভুল থাকলে তা বুঝিয়ে বলবে। এবং স্বামীর রাগ ভাঙ্গানোর
চেষ্টা করবে। এছাড়াও তারা সর্বদা ধৈর্য্য ধারণ করে থাকবে। এবং আউযুবিল্লাহ হিমিনাস
শাইতয়ানির রাজিম পরবে। তারণ এই ঝগড়া বিবাদের মুল কারণ হচ্ছে শয়তানের ওয়াসওয়াসা।
শয়তান সবচেয়ে বেশি সাফল্যমন্ডিত হয়, যখন সে কোন দম্পত্তির মাঝে ঢুকে তাদের
মধ্যে ভেজাল বা ঝগড়া বাজিয়ে দিতে পারে। শয়তান সবসময় চেষ্টা করে, মানুষের মধ্যে ঝগড়া
বিবাদের সৃষ্টি করতে। কিন্তু সে সময় অবশ্যই একজন আদর্শবান স্ত্রী চুপ থাকবে। সে তার
স্বামীর উপরে কোন কথা বলবে না। কারণ সে বুঝবে যে, এখন স্বামী রাগ হয়ে গেছে, এ সময় যদি
সেও রাগ হয়, এর ফলে ঝগড়া বিবাদ বাড়তে থাকবে। এই হলো আদর্শবান স্ত্রীর চার নম্বর গুন।
পাচ নম্বর হচ্ছে; স্বামীকে ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ জানানো। একজন আদর্শ
স্ত্রী স্বামীকে ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাবে। একজন আদর্শবান স্ত্রীর কাজ হচ্ছে
স্বামী যখন কোন ভালো কাজ করবে। তখন অবশ্যই তাকে সাধুবাদ জানানো এবং ধন্যবাদ জানানো।
কিন্তু অনেকে আছে যারা স্বামীকে বৎসনা দেয়, অপমান করে এবং বিভিন্ন রকমের কটু কথা বার্তা
বলে। কিন্তু একজন আদর্শবান স্ত্রী অবশ্যই ভালো কাজের জন্য তার স্বামীকে ধন্যবাদ জানাবে
এবং তাকে উৎসাহ দিবে উদ্দিপনা দিবে। প্রত্যেকটি সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিয়সী আদর্শবান
নারীর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপুর্ণ। কেননা তারা তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্বামীকে উৎসাহ
দিয়ে থাকে।
ছয় নম্বর হচ্ছে; স্বামীর সাথে আড্ডা দেওয়া, গল্প করা, আনন্দ ফূর্তি করা।
বিশ্বনবী মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝে মধ্যে আম্মাজান
আয়শা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এর কোলে মাথা পেতে ঘুমিয়ে থাকতেন এবং গল্প
করতেন। আবার আম্মাজান আয়শা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা নবীজির কোলের মধ্যে
শুয়ে থাকতেন এবং গল্প করতেন।
তাই অবশ্যই স্বামীকে সময় দিবেন, স্বামীর সাথে আড্ডা দিবেন, মাঝে মধ্যে
বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে যাবেন। কিন্তু অনেক স্বামী আছেন, যারা কখনও তার স্ত্রীকে বাইরে
ঘুরতে নিয়ে জান না। এচার কখনোই করা উচিত নয়। স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন হচ্ছে অত্যান্ত
সুখের জীবন, যেভাবে সুখ শান্তি হয়, সেটাই করতে হয়।
সাত নম্বর হচ্ছে; নিজে সর্বদা হাসিখুশি থাকতে হবে এবং সেজে গুজে থাকতে
হবে। কখনই স্বামীর সামনে মন খারাপ করে থাকা যাবে না। নোংরা হয়ে থাকা যাবে না। করাণ
আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন এবং নোংরা হয়ে থাকেন, এতে করে আপনার স্বামীরও কিন্তু মন
খারাপ হয়ে যাবে।
আট নম্বর হচ্ছে; অবশ্যিই সবসময় পর্দার মধ্যে থাকতে হবে। কেননা পর্দা ছাড়া
একজন নারীর কোন উপায় নেই। একজন মেয়ে যত বেশি পর্দা করবে, তার উপর আল্লাহ তায়ালার রহমত
এবং বরকত তত বেশি নাজিল হবে। এবং যে নারী পর্দায় আবদ্ধ থাকে, সে সর্বদা শয়তানের ফেতনা
থেকে বেচে থাকতে পারে। তাছাড়াও পর পুরুষের খারাপ দৃষ্টি থেকেও সে বেঁচে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
নয় নম্বর হচ্ছে; স্বামী কাজ থেকে বাড়িতে ফিরলে তার খেদমত করবে। একজন আদর্শবান
স্ত্রী অবশ্যই স্বামীকে দেখলেই তার মনের অবস্থা বুঝতে পারবে। সে বুঝতে পারবে তার স্বামী
এখন কি চায়। তাকে শরবত বানিয়ে দেওয়া। অসুস্থ হলে তার সেবা শশ্রুষা করা, তার যাবতীয়
কাজগুলো করে দেওয়া। এবং যদি গোসল করতে চায়, অসুস্থ অবস্থায় তার গোসলের প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো
এগিয়ে দেওয়া। সোজা কথা খেদমত করাই হচ্ছে একজন আদর্শবান স্ত্রীর নম্বর কাজ।
দশ নম্বর হচ্ছে; স্বামীর হৃদয় জয় করবার জন্য সর্বদা চেষ্টা করা। এই হলো
আদর্শবান স্ত্রীর দশটি গুন। এই গুনগুলো যে স্ত্রীর মধ্যে পাওয়া যাবে, তিনি হচ্ছেন একজন
আদর্শবান স্ত্রী। তার উপর সর্বদা আল্লাহ পাকের রহমত এবং দয়া বর্ষিত হতে থাকে। সে যে
কোন কাজে যাবে সব কাজে সফল হবে। এবং সে পরিবারটি হবে একটি জান্নাতের বাগিচা। সে সংসারে
আল্লাহ তায়ালা রহমত দিবেন এবং শান্তি দিবেন। এবং ঐ সংসারটিকে আল্লাহ তায়ালা বালা-মুসিবত
থেকে হেফাজত করবেন।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আল্লাহ তায়ালা এমন মোহব্বত পয়দা করে দিবেন যে, শয়তানো
তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।
এজন্য একজন আদর্শবান স্ত্রীর দশটিগুন যদি কোন মেয়ে অর্জন করতে পারে, ইনশাআল্লাহ
এই মেয়েকে তার স্বামী কলিজা দিয়ে ভালোবাসবে। ঐ স্ত্রীর সংসার অবশ্যই টিকে থাকবে, আল্লাহ
তায়ালার শান্তিতে পরিপূর্ণ করে দিবেন। এবং তার পেট থেকে যে সন্তান জন্ম নিবে, তাকে
আল্লাহ তায়ালা নেক সন্তান হিসেবে কবুল করবেন। সে কখনই কষ্ট পাবে না। সে দুনিয়াতে হবে
অনেক দামি একজন মহিলা এবং পরকালে হযরত আছিয়া,
হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং মা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা’র
মত জান্নাতে যাবে।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের মেয়ে সন্তানদেরকে এমন আদর্শবান মেয়ে
সন্তান হওয়ার তৌফিক দান করুক আমিন।

Wednesday, December 21, 2022
মেয়েদের জন্য সাজসজ্জার ১১টি ইসলামী বিধান
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
মেয়েদের জন্য সাজসজ্জার ১১টি ইসলামী বিধান নিয়ে আজের ভিডিওতে আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ সুন্দর, তিনি
সৌন্দয্য পছন্দ করেন। তবে এর একটি সীমারেখা নির্ধারিত আছে, কোন সৌন্দর্য্যের প্রদর্শণ
যেন পাপে পরিণত না হয়। কোন নারী সে যাদের কাছে বৈধভাবে যেতে পারবে, যাদের সামনে বৈধভাবে
হাটা চলা করতে পারবে, তাদের সামনে সাজসজ্জা করাটা মোটেও পাপের কিছু নয়, বরং ইবাদাত।
যে সব সাজ সামগ্রী হালাল বস্তু দ্বারা তৈরি, এবং যে সকল সাজ সজ্জার দ্বারা
আল্লাহর সৃষ্টি করার গঠনে কোন বিকৃতি ঘটেনা, তা ব্যবহার করা জায়েজ। পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা
ও সাজসজ্জা ইসলামী জীবন রিতির অবিচ্ছেদ অংশ এবং ইবাদতের অংশ। তাই নারীরা অবশ্যই সাজ
সজ্জা করবে, এটাই ইসলামের শরীয়তের বিধান, তবে ইসলাম নির্দেশ করে যে, স্ত্রী যেন ঘরে
তার স্বামীর জন্য সর্বোত্তমভাবে সাজ সজ্জা করে। স্বামীর উদ্যেশ্যে সাজ সজ্জা করাটাকে
ইবাদত বলা হয়েছে। আজীবনের সঙ্গী অথবা সবসময় দেখছে বলে তার সামনে একেবারে অগোছালো থাকা
ইসলামী শিক্ষা বিরোধী।
মেয়েদের জন্য সাজ সজ্জার ১১টি ইসলামী বিধানের প্রথমটি হচ্ছে পোশাক। নারী
ও পুরুষ যেহেতু পৃথক সত্ত্বা, তাই সৃষ্টিগতভাবে তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। এ পার্থক্য
বজায় রাখা জরুরী। তাই নারীদের জন্য পুরুষের কাটছাটের পোশাক পরিধান করা এবং তাদের বেস
ধারণ করা নিষিদ্ধ। টাইট ফিট জামা, টাইট ফিট বোরখা বা পাতলা পোশাক পরে বাইরে বের হওয়া
কোন মুসলিম নারীর জন্য জায়েজ নয়।
আবু ইয়াজিদ মোজানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু মহিলাদের কাতাদী অর্থাৎ মিশরে প্রস্তুতকৃত একধরণের সাদা কাপড়, এই কাপড়টা
তিনি পড়তে নিষেধ করতেন। তারপর লোকেরা বললো, এ কাপড়ে তো আর শরীর দেখা যায়না। এটাতো পাতলা
না। এর উত্তরে তিনি বলেন; হ্যা- এই কাপড়ে তক দেখা যায়না তা ঠিক, কিন্তু এই পোশাকগুলো
এতটাই আটোসাটো যে, অঙ্গ-পতঙ্গ ফুটে ওঠে। তিনি আরো বলেন; নারীদের ছেলোয়ার ঠাখনুর নিচে
থাকা উচিৎ।
নারীরা যে কোন কাচের তৈরি বা ধাতুর তৈরি চুরি অলংকার পরিধান করতে পারবে।
সোনা, রূপা, পিতল, তামা ইত্যাদি ধাতুর সবরকমের অলংকার ব্যবহার করতে পারবে। তাই কান
ও নাক ফোড়ানোর পর, এই সকল ধাতুর অলংকার পরিধান করাতে ইসলামে কোন বাধা দেয়না।
তিন নম্বর হচ্ছে চুলকাটা।
অনেক সময় নারীদের বিভিন্ন প্রয়োজেনে মাথার চুল কাটতে হয়। কোন অপারগতা,
অক্ষমতা বা বিশেষ ধরণের কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যদি সে চুল কাটে, তবে ক্ষমা রয়েছে। কিন্তু
এছাড়া মাথা মন্ডল করা বা নারীদের চুল ছোট করে ফেলা ইসলামে বৈধ নয়, এটি গোনাহের কাজ।
চার নম্বর হচ্ছে, নারীদের মুখে পশম হলে কি করণীয়?
নারীদের গোফ দাড়ি হলে মন্ডিয়ে ফেলা মুস্তাহাব। এটা কোনভাবেই মুখে রেখে
দেওয়া যাবে না। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, কোনভাবে যদি কোন প্রক্রিয়ায় এসকল অবাঞ্চিত লোম
মুল থেকে তুলে ফেলা যায়, তাহলে আরো ভালো।
পাচ নম্বরে হচ্ছে; নখ বড় রাখা।
হাত পায়ের নখ বড় রাখা বে-জাতীয়দের স্বভাব ও একটি ঘৃনিত কাজ। অনেক সময়
নখের ভেতর ময়লা জমে, খাবারে সময় পেটে চলে যাওয়ার আশংকা থাকে। প্রতি সপ্তাহে হাত পায়ের
নখ কাটা সুন্নত। অন্তত দুই সপ্তাহের একবার কাটলেও চলবে, তবে চল্লিশ দিনের বেশি না কাটা
অবস্থায় অতিবাহিত হলে গোনাহ হবে।
ছয় নম্বর হচ্ছে নেইল পালিশ;
নেইল পালিশ যদি পবিত্র বস্তু দ্বারা প্রস্তুত করা হয়, তাহলে তা ব্যবহার
করা যায়েজ। তবে নেইল পালিশ যেহেতু পানি প্রবেশের প্রতিবন্ধক, তাই নখে থাকা অবস্থায়,
অযু ও ফরজ গোসল হবে না। নখ থেকে তুলে অযু ও ফরজ গোসুল করতে হবে। বারবার অযুর সুবিধার্থে
নেইল পালিশ ব্যবহার না করাই অধিক নিরাপদ।
সাত নম্বর হচ্ছে মেহেদী;
নারীদের জন্য সর্বদা হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙিয়ে রাখা মুস্তাহাব। এতে
স্বামী আনন্দিত হয়। অযু ও গোসলেও কোন সমস্যা হয় না। কেউ কেউ পায়ে মেহেদী লাগানো কি
খারাপ? নাকি গুনাহ হবে? এমনটা ভেবে পায়ে মেহেদী লাগান না এবং এ সম্পর্কে একটা যুক্তি
রয়েছে যে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাড়িতে মেহেদী লাগাতেন অতএব, এই মেহেদী
কোনভাবে পায়ে লাগানো যাবে না এটা বেয়াদবী। কিন্তু এই যক্তিটি একেবারেই সঠিক নয়।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো দাড়িতে তেলও লাগাতেন, তাই বলে
কি আমরা পায়ে তেল লাগানো বন্ধ করে দিয়েছি? মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তেল, ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করতেন। তাই তেল ব্যবহার করা সুন্নত। তবে ক্রীম-স্নো- পাউডার
যা বর্তমান সময় পাওয়া যায়, এগুলো যদি, হালাল বস্তু দ্বারা তৈরি হয়, ইনগ্রেডিয়্যান্স
দেখতে হবে, যদি সবগুলো বস্তু হালাল হয়, তাহলে ব্যবহার করতে কোন দোষ নেই।
আট নম্বর হচ্ছে; পারফিউম বা বডি-স্প্রে।
ফারফিউম বা বডি-স্পে যদি কোন নাপাক বস্তুর বিস্তৃতি না থাকে তাহলে তা
ব্যবহার করা যায়েজ। মুসলিম নারীরা গৃহের মধ্যে অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে,
এতে তার কোন বাধা নেই।
তবে সাবধান! কোনভাবেই বাইরে বের হওয়ার সময় সু-গন্ধি ব্যবহার করা যাবে
না।
নয় নম্বর হচ্ছে ব্রু-প্লাগ করা।
নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায়ে ব্রু- চিকন করার
যে প্রথা বর্তমানে প্রচলিত আছে! তা বৈধ নায়; সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বর ২১২৫।
দশ নম্বর হচ্ছে দাঁত ফাকা করা;
কৃত্রিমভাবে দাতের মধ্যে ফাঁকা তৈরি করা যায়েজ নয়। তবে যে কোন দাত, অস্বাভাবিক
বাকা বা অতিরিক্ত থাকলে, তা সোজা করা বা তুলে ফেলা বৈধ। এতে কোন বাধা নেই।
এগারো নম্বর হচ্ছে পরচুলা;
নারীরা পরচুলা ব্যবহার করতে পারে, যদি তা সুতা-পশম, কাপড় বা এ জাতীয় কিছু
দ্বারা তৈরি করা হয়, এবং চুলের সদৃশ না হয়। আর যদি মানুষের চুল দ্বারা তৈরি করা হয়
বা চুলের সাদৃশ্য হয়, তাহলে এই পরচুলা ব্যবহার করা একেবারেই হারাম।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত মা-বোনকে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ি সাজ সজ্জা ধারণ করার তৌফিক দান করুক। সাজ সজ্জার দ্বারা গুনাহ নয়, বরং নেকী অর্জন করার তৌফক দান করুক- আমিন।
এই ২৫টি স্বভাবের মধ্যে, যেকোন একটি স্বভাব আপনার মাঝে থাকলে জাহান্নামে
যাবেন।
প্রিয় দর্শক এই ভিডিওটি দেখলে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে করা পাপগুলি আপনি
খুব ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আমাদের খুব পরিচিত ২৫টি স্বভাব আমরা বুঝতেও পারিনা যে এগুলোর কারণে আমরা
জাহান্নামী হতে পারি। সময় থাকতে যদি এগুলো না বুঝতে পারি। তবে কিভাবে তাওবা করে এসব
থেকে মুক্ত হবো?
এক আমাদের কেউ একজন একটা কথা আমানত হিসেবে বললো এবং অনুরোধ করলো, ভাই
আপনি এই কথাটা কাউকে বলবেন না। অথচ আমিও ঐ আরেকজনকে আবার এই কথা বলে দিয়েছি এবং সাথে
বললাম ভাই আপনি না কাউকে বলবেন না। এভাবে কথাটা অপেন সিক্রেট হয়ে গেলো এবং মানুষ যেনে
গেলো। এভাবে কথার আমানত খেয়ানত করার জন্য আমরা জাহান্নামী হব।
মনে রাখবেন জাহান্নামের উদ্বোধন হবে মুনাফিক দিয়ে। এ জাতীয় মুনাফিক যারা
মানুষের কথার আমানত পর্যন্ত রক্ষা করতে পারে না। আজ থেকে সতর্ক হয়ে যান। অনেক নামাজী,
রোজাদার মানুষ কিন্তু এই আমানত খেয়ানত করনে, সাবধান। আগে থেকে বলে দিবেন যে ভাই আমি
পেটে কথা রাখতে পারি না। আপনার কথা হয়তো কাউকে বলে দিবো কিছু মনে করবেন না। তাহলে অন্তত
আপনার পাপ কম হবে।
দুই নাম্বার হচ্ছে আমি গুলশানে দাড়িয়ে কাউকে মোবাইলে বললাম, ভাই আমি তো
মতিঝিল চলে এসেছি। আমি আছি এখনো রিক্সায় বা অনেক দুরে অথচ বাসার লোকদের জানাচ্ছি আমি
এখন সিড়ী দিয়ে বাসার উঠছি এটাও কিন্তু মুনাফিকী।
তিন নম্বর হচ্ছে; কোন ব্যক্তিকে এই কথা বলাঃ এই তুইতো কিছুদিন আগে আমার
কাছে একটা চাকরীর জন্য এসেছিলি। চাকরী দিলাম, আজকে টাকা ইনকাম হয়েছে আর সব ভুলে গেলি?
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; কারো উপকারের পর এ জাতীয় কথা
বলে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করা, ভরা মজলিশে খোটা দিয়ে অপমান করা। এটি নিঃসন্দেহে জাহান্নামের
জন্য যথেষ্ট।
মনে রাখবেন, প্রয়োজনে মানুষের উপকার বাদ দিয়ে দিন। কিন্তু উপকার করে এ
জাতীয় কথা বলে আপনার নিজের আমল ধ্বংশ করবেন না এবং জাহান্নামের রাস্তা সুগম করবেন না।
চার নম্বর হচ্ছে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটা মেয়ের দিকে তাকালেন। মেয়টা
ইসলামী পোশাক পড়া নেই, এবং দেখতে সে বেশ আকর্ষণীয় এর পরের বার আর তাকাবেন না। প্রথমবার
আপনার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কিন্তু এরপরের দৃষ্টির গুনাহ মাফ হবে না।
পাচ নম্বর হচ্ছে; আপনি জীবিত এবং সুস্থ থাকা অবস্থায় যদি আপনার স্ত্রী
বেপর্দা হয়ে বাজার সদাই করতে হয়, তাহলে আপনি দাইয়ুস। আপনার অবস্থান সরাসরি জাহান্নাম।
ছয় নম্বর হচ্ছে; সন্তান বড় হয়েছে অথচ তাকে পর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষা দেন
নি। সালাতের জন্য তাগাদা দিচ্ছেন না। এ সন্তান জান্নাতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকলেও,
তার বাবার জান্নাতে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ কেন জানেন?
কারণ সন্তান হয়তো পরবর্তী জীবনে আমলী এবং নেক্কার হয়ে যাবে। কিন্তু পিতার
দায়িত্বহীনতার কারণে সে জাহান্নামী হবে।
সাত নম্বর হচ্ছে; টাকনুর নিচে পোশাক ছেড়ে দেওয়া। পুরুষদের জন্য এটি জাহান্নামে
যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। যদি টাকনুর নিচে সে কাপড় ছেড়ে দেয়।
আট নম্বর হচ্ছে; কারো হক নষ্ট কেরেছেন? বা দূর্ণীতি করে টাকা ইনকাম করেছেন?
যদি আখিরাতে বাচতে চান তাহলে তার টাকা বা হক
ফিরত দিয়ে দিন, নইলে আখেরাতে সে আপনার সমস্ত নেক আমল ধরে টানবে। মিশকাত- ৩৭৫৩।
নয় নম্বর হচ্ছে; ভয়স ছিল, ক্ষমতাও ছিল। তখন রিকশাওয়ালাকে ১০ টাকা বেশি
দাবী করার কারণে কশিয়ে চর মেরেছিলেন। এর নাম হচ্ছে দুর্বল এর উপরে যুলুম, এটি অত্যন্ত
বড় অপরাধ। জাহান্নাম থেকে বাচতে হলে তার হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নিন। নইলে একদিন আপনার
আমল নামা সে টান দিবেই দিবে এবং আপনি যাবেন, জাহান্নামে।
দশ নম্বর হচ্ছে মহিলারা গায়ে সুগন্ধি মেখে পর পুরুষদের পাশ দিয়ে হেটে
গেছেন? এ ধরণের কাজ জীবনে আপনি যতবার করেছেন, ততবার যেনার অপরাধ হয়ে গিয়েছে। এক্ষতি
তাওবা করুন। আর কখনো পর পুরষের সামনে সুগন্ধি মেখে হাটাচলা করবেন না। এটা আল্লাহর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করে গিয়েছেন। হ্যা সুগন্ধী আপনি আপনার স্বামীর
সাথে একান্তে বা ঘরের ভিতরে ব্যবহার করতে পারেন। তখন সুগন্ধি ব্যবহার করতে কোন অপরাধ
নেই বরং ছওয়াব রয়েছে।
এগারো নাম্বার হচ্ছে; যতবার আপনি সুদ খেয়েছেন বা দিয়েছেন, বা সুধের কাজে
সহযোগীতা করেছেন? ততবার আপনি মায়ের সাথে যেনা করার মতো জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত হয়েছেন,
যার পরিনাম জাহান্নাম।
বার নম্বর হচ্ছে যতবার আপনি অমুসলিমকে খাইয়েছেন বা উপকার করেছেন, মনে
রাখবেন ততবার আপনি দানের ছাওয়াব পেয়েছেন। এবং আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর খুশি হয়েছে কারণ
আপনি একজন অমুসলিমকে খাইয়েছেন বা দান করেছেন। কিন্তু অতি উৎসাহিত হয়ে তার পুজা আর্চণায়
যোগ দেওয়া, তাকে এসএমএস দিয়ে পুজার শুভেচ্ছা জনানো অথবা তার পূজায় নিজের গা কে ভাসিয়ে
দিয়ে আপনি শিরক করেছেন তো জাহান্নামের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। আল্লাহ তায়ালার নিকট
খাস তাওবা ব্যতিত এই পাপাচার থেকে কখনোই আপনি মুক্তি পাবেন না এবং জাহান্নামের আগুন
থেকেও রক্ষা পাবেন না। যতবার আপনি, জন্মদিন, মৃত্যু দিন, বিবাহ বার্ষিকী বা কোন দিবস
পালন করেছেন এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন ততবার আপনি বিদায়াত করেছেন। আর রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাপারিশ বেদায়াত কারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
চৌদ্দ নম্বর হচ্ছে ভিক্ষুক; এক্ষেত্রে একটু কথা বলে রাখি, ভিক্ষুক দেখলে
আমরা অনেকেই বলি আল্লাহর রাসুল ভিক্ষুক ব্যক্তি পছন্দ করেন না। এই যা তুই এখান থেকে
চলে যা। অর্থাৎ ভিক্ষা দিবো না। এখানে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর রাসুল
ভিক্ষুক ব্যক্তি পছন্দ করতেন না ঠিক, কিন্তু দান করতে তো অনুৎসাহিত করেননি। দানকে তো
তিনি বাধ্যতামুলক করেছেন। যদি কোন অসহায় ভিক্ষুক আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে কিছু দেন, করুন
সুরে আপনার সামনে এ কথাটি বলে, আর আপনার তাকে কিছু দেওয়া মতো ক্ষমতা থাকে, তাহলে না
দিলে কিন্তু আপনি গোনাহগার হবেন- আবু দাঊদ- ১৬৭২ নং হাদিস।
হ্যা ভিক্ষুক যদি বলে ভাই আমাকে কিছু দেন, আল্লাহর ওয়াস্তে এই কথাটা যুক্ত
না করে অথবা শুধু বলে আমাকে সাহায্য করুন তাহলে, মনে চাইলে আপনি তাকে কিছু দিতে পারেন,
আবার ইচ্ছে হলে নাও দিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে বললে, আপনাকে কিছু না কিছু
দিতেই হবে। কারণ আরসের মালিক আল্লাহর নামে সে আপনার নিকট সাহায্য চেয়েছে। যে মালিক
মুলত আপনাকে খাওয়াচ্ছেন এবং আপনার সকল সম্পদ তারই দান।
পনের নম্বর হচ্ছে স্ত্রী বা শ্বশুরবাড়ীর লোকদের প্ররোচনায় নিজের বাবা
মাকে অবহেলা করা। এটি এখন বর্তমান সময়ে একটি ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। এই পাপাচারে একদম
ফেসে যাবেন না।
মনে রাখবেন পিতা মাতা সবার উপরে অবস্থান করবে। তাদের হক আদায় আপনাতে করতেই
হবে। অন্য যে কারো হকের পূর্বে তাদের হক আদায় করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ষোল নম্বর হচ্ছে; অফিসের কাচে ফাকি দেওয়া কিন্তু মাস শেষে পুরো বেতন নিয়ে
যাচ্ছেন আর আপনি অফিসের কাজে ফাকিবাজী করছেন?
মনে রাখাবেন কেয়ামতের দিন কোম্পানির মালিককে আপনার আমলনামা দিয়ে দেওয়া
হবে। আর তার গুনাহ আপনার আমলনামায় যুক্ত করে দেওয়া হবে। কারণ আপনি বেইমানী করেছেন,
টাকা নিয়েছেন, বেতন নিয়েছেন, কিন্তু চাকরীতে আপনার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেন নি।
সতের নম্বর হচ্ছে; ধুমপান বা যেকোন নেশাদার দ্রব্য দিয়ে নেশা করা। মনে
রাখবেন নেশা করার পরবর্তী চল্লিশ দিন আল্লাহর রহমাত আপনার উপর থাকবে না। তাই নেশাদ্রব্য
থেকে দূরে থাকুন।
আঠারো নম্বর হচ্ছে ওয়াদা ভঙ্গ করা। মনে রাখবেন ওয়াদা ভঙ্গ করলে আপনি মুনাফিক।
আর জাহান্নাম উদ্বোধন হবে মুনাফিকদের দিয়ে। কাফের মুশরিকদের দিয়ে জাহান্নাম উদ্বোধন
হবে না।
উনিশ নম্বর হচ্ছে; কর্মচারীকে চুক্তি ঘন্টার চেয়ে অতিরিক্ত খাটিয়েছেন
আর বিনিময়ে কিছুই দেন নি? এর খেশারত একদিন আপনাকে দিতে হবে। হয়তো আপনার আমলনামার পুরোটাই।
একুশ নম্বর দান করার সমর্থ আছে কিন্তু তারপরও দান করলেন না। কঞ্জুস এবং
কৃপন থাকলেন? আপনাকে খুবই ভয়াবহ মৃত্যু যন্ত্রণা দেওয়া হবে। যদি আপনি উদার এবং দানশীল
না হন।
বাইশ নম্বর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন? কিংবা চাদাবাজী
করেছেন? ঘুষি নিয়েছেন? কিন্তু ফেরত দেননি? আমল নামা ভারী করুন, কারণ এটা দিয়ে একদিন
শোধ করতে হবে।
তেইশ নাম্বার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পদ্ধতি
বা দিয়ে পীর সাহেব নিত্য নতুন যে পদ্ধতী দিয়েছেন বা এমন কিছু যদি দিয়ে থাকেন যেটা আল্লাহর
রাসুল করেন নি, সেই পদ্ধতিতে আমল করেছেন তো ধরা খেয়েছেন। মনে রাখবেন রাসুলের সুপারিশ
আপনার জন্য নয়, কারণ বেদায়াতকারীদের আল্লাহর রাসুল সুপারিশ করবেন না।
চব্বিশ নম্বর হচ্ছে ঘরে কোরআন কিনে ফেলে রেখেছেন কিন্তু তা পড়েন ওনা বা
অনুধাবন করেন না? মনে রাখবেন এই কুরআন একদিন আপনার বিরুদ্ধে স্বাক্ষ দেবে।
পচিশ নাম্বার হচ্ছে; মহিলারা স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ীর লোকাদের বদনাম করছেন?
আজ থেকে এসব বাদ দিয়ে দিন। স্বামীরা স্ত্রী বার তার পরিবারের লোকদের নামে বাদনাম করছেন?
আজ থেকে এসব বাদ দিয়ে দিন ইস্তেগফার পড়ুন। আস্তাগফিরুল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ।
মনে রাখবেন এই পাপাচার আল্লাহ কোনদিন ক্ষমা করবেন না। যারা আত্মীয়তার
বন্ধনকে সমালোচনা এবং পরনিন্দা দ্বারা দুর্বল করে তোলে। মনে রাখবেন, আত্মীয়তার বন্ধুন
বিচ্ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না।
হে আল্লাহ আপনি আমাদের এই সকল স্বভাবগুলো থেকে, মৃত্যুর পূর্বে তওবা করে
ফিরে আসার তৌফিক দান করুন- আমিন
আমি জানি অনেক ভাইদের মাঝে এই স্বভাবগুলো আছে। আমি নিজেও এ সকল স্বভাব
থেকে ১০০ ভাগ পৌত পবিত্র তাও বলার সুযোগ নেই।
তাই আসুন দিল থেকে সবাই ইস্তেগফারের মাধ্যমে ওয়াদা করি যে এসকল স্বভাব
আর কোনদিন আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে ধারণ করবো না।
আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।

Sunday, December 11, 2022
নারীরা কোন কোন কারণে জাহান্নামে যাবে? Women will go to hell for some reason?
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ আমরা জানবো
নারীরা কোন কোন কারণে জাহান্নামে যাবে। সম্মানিত মা বোনেরা আমার এই আলোচনা কোন বিশেষ পক্ষকে হেও করার জন্য নয়। বরং আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদীসের আলোকে বাস্তব কিছু ভুলভ্রান্তি তুলে ধরা। যা আপনাদের মধ্যে পাওয়া যায়। আজকের সমাজের আমাদের মা বোনদের অনেক রয়েছেন যারা দ্বীনদারিত্তের ক্ষেত্রে মহৎ এবং শ্রেষ্ঠ।
তারা অনুগত
নেক্কার, রোজাদার, পরহেজগার আর এই সকল মহীয়সী নারীদের ব্যাপারে কুরআন বলেছেঃ বিভিন্ন পুরস্কারের কথা। শ্রেষ্ঠ মহীয়সী নারী হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম কেও নিয়েও পবিত্র কুরআনে
গোটা একটি সুরাহ নাজিল হয়েছে। কিন্তু তারপরও
ভুলভ্রান্তির দরুন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন ৯৯ জন নারীদের মধ্য থেকে একজন জান্নাতে যাবে আর বাকি সবাই জাহান্নামে যাবে।
উসামা ইবনে জায়েদ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেনঃ আমি জান্নাতের গেটে দাড়ালাম দেখলাম যারা তাতে প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই ছিল দুনিয়াতে দরিদ্র, অসহায়। আর ধনী
ও প্রভাবশালীদের আটকে দেওয়া হয়েছে তবে তাদের মধ্যে যাদের জাহান্নামে যাওয়ার ফয়সালা হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদা। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশ
দরজায় দাড়ালাম দেখলাম যারা প্রবেশ করেছে তাদের অধিকাংশ নারী।
এ হাদিস মোবারক পাঠ করে মানুষ অনেক পেরেশান হয়ে যায়। বিশেষ করে নারী সমাজ।
এটা যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বানী তাই চিন্তা হবারি কথা।
এবং মনে প্রশ্ন আসার কথা যে, নারীরা এত বেশি পরিমানে কেন জাহান্নামে যাবে।
সেই প্রশ্নটিই রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম জীবিত থাকা অবস্থায় একজন নারী করেছিলেন। মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ হে নারীগণ তোমরা দান ছোদকা করো, বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি জাহান্নামে তোমাদের অধিক হারে দেখেছি।
এ কথা শোনার পর উপস্থিত মহিলাদের মধ্যে থেকে একজন যার নাম ছিল জাজলা তিনি প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! আমাদের এই অবস্থা কেন?
কেন জাহান্নামে আমরা বেশি সংখ্যায় যাব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেনঃ তোমরা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ ও বেশী বেশী অভিশাপ দাও। বলতে খারাপ শোনা গেলেও আসলে আজকে আমাদের সমাজে নারীদের বাস্তব চিত্র অনেকটা এরকমই। যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলে গিয়েছেন চৌদ্দশ বছর পূর্বেই।
দাম্পত্য জীবনে
এমন অনেক সুখী নারীকে দেখা যায়, স্বামীর সামান্য একটু ভুল হলেই বিগত জীবনের স্বামীর সাথে সুখের সংসার করেছে ভালোবাসার প্রতিটি মুহূর্ত কাটিয়েছে তা
বেমালুম ভুলে যায়। তার অবদানকে মুহূর্তে অস্বীকার করে। অকৃতজ্ঞতার সুরে বলে তুমি আমার জন্য কি করেছো। আমি মেয়ে হয়েছে বিধায় তোমার সাথে সংসার করছি। তোমার ঘরে আসার পর আমি কিছুই পেলাম না। তুমি আমার জীবনটা বরবাদ করে দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
মহিলারা সামান্য কারণেই আবেগী হয়ে যায় তখন তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এজন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের সাথে সর্বদা সদাচরণের কথা বলেছেন। তাদের সাথে উত্তেজনা পরিহার করে, নম্র ভাষায় কথা বলতে বলেছেন।
একইভাবে নারীদেরকেও বলেছেন স্বামীর প্রতি অনুগত হওয়ার জন্য। নারীদের খাটো করা বা তাদের অবমূল্যায়নের উদ্দেশ্য নয় বরং আমার মা বোনদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে আজকে গুরুত্বপূর্ণ ১৫ টি কারণ যে ভয়াবহ অভ্যাসগুলো আমাদের মা-বোনদের জাহান্নামের পথ ধরিয়ে দিচ্ছে।
এক নারীদের মধ্যে ফজরের নামাজ কাজা করাটা খুব বেশি দেখা যায়। এমনকি অনেক দ্বীনদার নামাজি নারীরাও ফজরের নামাজ কাজা করে ফেলে।
তেমনি ভাবে নারীদের আরো একটি ভুল যা তাদের জাহান্নামে নিয়ে যায় তা হল বেশিরভাগ নারী যাকাত দেয়ার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। খবর নিয়ে দেখা যায় একজনের আলমারী ভর্তি সোনা রুপার গহনা আর যাকাত দিতে বললে, তারা বলে আমার কাছে নগদ টাকা নেই। হে বোন যেনে রাখুন এই শখের গহনা আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে, জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
তাই প্রয়োজনেই গহনা বিক্রি করে দিয়ে হলেও চাকা দিয়ে দেওয়া হলো বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া যেসব নারীর উপর যাকাত ফরয হয় তাদের জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব হয়। কিন্তু আমরা একশত এর মধ্যে একজন কেউ খুঁজে পাইনা যারা নিজের কাছে সম্পদ থাকা সত্ত্বেও নিজের টাকা পয়সা খরচ করে পুশু কিনে কোরবানি করেন। অধিকাংশ মহিলার স্বামীর উপর নির্ভর করে থাকে, নিজের উপর কুরবানী ওয়াজিব তা জেনেও খবর রাখে না। তৃতীয় কারণ অনেক নারীর আরেকটি মারাত্মক ভুল হলো যে তারা, গোসল ফরজ হওয়ার পরেও নাপাক অবস্থায় চলাফেরা করে, নানান কারণে গোসল করতে দেরি করে, এমনটি একেবারে করা উচিত না। পাক পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।
অনেক মেয়েরাই নেইলপলিশ লাগিয়ে থাকেন, অথচ নেলপলিশ লাগানোর ফলে ওযু হয় না এই নেলপলিশ তুলতেও সময় লাগে। তাই অনেক নেলপলিশ করা নারী নামাজ ছেড়ে দেয়, আবার অনেকে নেলপলিশ না তুলেই অজু করে নামাজ আদায় করে।
ফলে সে মূলত ওযু ছাড়া নামাজ পরল। কারণ যতক্ষণ নেলপালিশ না সরাবে ততক্ষণ ওযু হবে না, আর অযু না হলে, নামাজ হবে না। তেমনিভাবে অধিকাংশ নারী পর্দা করার ব্যাপারে উদাসীন। যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে, তা ভালোভাবে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ কেউ গায়ে হলুদের মত অপসংস্কৃতি এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে নৃত্যনতুন হাইব্রিট কালচারের উত্থানে আমাদের মা বোনদেরকে অশ্লীলভাবে নাচ-গান এবং বিভিন্ন বেপর্দাগীরি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়। তাছাড়া দু'জন নারী যখন মিলিত হন তখন তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়, তৃতীয়জনের গীবত করা। আর অধিকাংশ নারীদের স্বভাবই এমন যে তারা কয়েকজন একত্র হলে, কথা না বলে থাকতে পারেন না। আর কথার বিষয়বস্তু হয়ে থাকে গীবত পরনিন্দা করা। আর গীবত করতে করতে অনেক নারী জাহান্নামের দরজায় পৌছে যায়।
এক
বাদশার ঘটনা; তিনি ঘোষণা দিলেন, যদি কেউ চমৎকার করে ডাহা মিথ্যা বলতে পারেন, তাকে পুরস্কার দেয়া হবে। যে যত মনের মাধুরী মিশিয়ে ডাহা মিথ্যা গল্প বলতে পারবে, তাকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হবে। তখন অবশেষে একজন বলল, আমি এক জায়গায় অনেক মহিলাকে বসে থাকতে দেখলাম, কিন্তু সেখানে সকলেই চুপচাপ, তারা কেউ কারো সাথে কথা বলছে না, তখন বাদশা উচ্চস্বরে হেসে উঠলেন এবং বললেন যত মিথ্যে গল্প বলা হয়েছে এ গল্পটি সর্বশ্রেষ্ঠ।
কেননা মহিলারা চুপচাপ এক জায়গায় কখনো বসে থাকে না। তারা তো অবশ্যই একে অপরের বিরুদ্ধে, ননদের বিরুদ্ধে, শাশুড়ির বিরুদ্ধে, স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা নিজ পুত্রবধূর বিরুদ্ধে,
গীবত শিখায়েত করতেই থাকবে। আল্লাহ আমাদের মা বোনদেরকে গীবত শিখায়েতের হাত থেকে রক্ষা করুন। তার পরিবর্তে ধৈর্য ধারণ করুন, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।
৭
নম্বর অধিকাংশ নারীরা খুবই কৃপণ হয়ে থাকেন, দান-সদকা করতে খুবই কৃপণতা করে থাকে। যদি নারীরা বেশি বেশি দান সদকা করে, তাহলে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে দিবেন। কোন নারী যদি
ভুলক্রমে কোন অন্যায় করে ফেলে, তাহলে ভুল স্বীকার করতেও লজ্জা করে, দেরি করে।
অথচ এ দুনিয়ায় ক্ষমা চাওয়া টা খুব সহজ, কিন্তু কেয়ামতের দিন এর জবাব দেওয়াটা খুব কষ্টকর।
এছাড়া নারী রাগের মাথায় অনেক কুপরিকালাম উচ্চারণ করে এমন কথা বলে দেয় যার ফলে মানুষের ঈমান হারা হয়ে যায়। কুফুরি কালাম এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কুফরী হলো স্বামীর বিরুদ্ধে নারীর মিথ্যা অভিযোগ। তেমনি ভাবে আল্লাহতালার বিরুদ্ধে অভিযোগ আরম্ভ করে তারা। যেমন বলে, আল্লাহ আমার দোয়া শুনেন না, এখন আর আল্লাহর কাছে দোয়া করি না।নাউযুবিল্লাহি মিন যালেক।
একদিন একজন বয়স্ক মুরুব্বি মহিলার সাথে আমার কথা হলো, আমি জানতে পারলাম, সে নামাজ পড়ে না। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম; নামাজ কেন পড়েন না? সেই মহিলা বললেন; কি করব? আল্লাহ তাআলা আমার সবসময় রোগব্যাধি দেয়। আমাকে খারাপ রাখে, তাই রাগ করে নামাজ পড়িনা। নাউজুবিল্লাহ।
প্রিয় বোনদের বলি, যারা হতাশ হয়ে গিয়েছেন, ভাবছেন আপনার ডাক হয়তো আল্লাহ শুনছেন না, কখনোই না, আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের ডাক শুনেন। আপনি ধর্য্যধারণ করুন। নিজের ভুলগুলো খুঁজে বের করুন, কেন আপনার ডাক আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছায় না। আর যদি দেরিতেও পৌছায় তাও বা আল্লাহ ছাড়া আপনার উপায় কি? কোনভাবেই আল্লাহর উপর অসন্তুষ্টি হওয়া যাবে না।
আল্লাহ যদি ডাক নাও শুনে থাকেন, সেখানেও কল্যাণ আছে। আর না শুনার কথা আল্লাহ বলেননি। আল্লাহ বলেছেনঃ আমি তোমাদের সবার ডাক শুনি, কারোটা সাথে সাথে কবুল হয়, কারোটা দেরিতে, কারোটা আল্লাহ রব্বুল আলামীন পরকালে উত্তম জাজা খায়েরের বিনিময়ে রেখে দেন।
নারী সমাজের আরেকটি বড় ভুল, তারা কোন বিধর্মী হাইব্রিড কালচার পেলে তা লুফে নেয়। কিন্তু যদি বলা হয়, এটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সুন্নত তখন সে দিকে ফিরেও তাকায় না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বামী কি চুরি করে আনছে, ঘুসের টাকা আনছে, স্বামী কি হালাল উপার্জন করছে না করছেনা, তা নিয়ে তাদের মাথাব্যাথাই নেই। নিজের চাহিদা প্রয়োজন মিটলেই হলো, কিন্তু এটি উচিত নয়।
একজন রমনী হিসাবে আপনারও উচিত, আপনার চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে, যেন কখনোই আপনার স্বামী হারাম পথ বেছে নেন। তেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালা কোন নারীকে যদি ভালো ঘরে জন্ম দেন। ধনী পিতার আদরের দুলালী হন, তার চেহারা যদি সুন্দরী হয়, তখন সে এতটাই বেপরোয়া ও অহংকারী হয়ে উঠে যে, তার সামনে অন্য কারো সুনাম করলে সে বরদাস্ত করতে পারে না।
অহংকারী একজন নারীকে জাহান্নামে পৌঁছার জন্য যথেষ্ট। মাটির মানুষ মাটির সাথে মিশে যাবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন; আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, আর এই মাটিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। অতপর এই মাটি থেকে তুলে আনব। তাই এই সৌন্দর্য্যের কোন অহংকারই কাজে আসবে না। বরং
দ্বীন দারিত্তই আপনাকে শ্রেষ্ঠ করবে।
তাছাড়া অধিকাংশ নারী
কুধারনার রোগী হয়ে থাকেন। আর সামান্য সন্দেহ থেকে কুধারণা, আর সে কুধারনা থেকে মিথ্যা অপবাদের
মত কবীরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে যান। যা জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত একটি কারন। আজকাল যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তা হল কোন কারণে স্বামীর সাথে ঝগড়া হলে, স্বামীকে এমন ভাবে রাগান্বিত করে, স্বামীকে এমন এমন কথা বলে, যাতে স্বামিও প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে এমন বাক্য বলে দেয়, যাতে তালাক হয়ে যায়। আর তালাক হয়ে যাওয়ার পরে
সে স্বামীর সাথে সংসার করতে থাকে। যা ইসলাম অত্যন্ত মারাত্মক হারাম কাজ। আল্লাহ আমাদের বদমেজাজের হাত থেকে রক্ষা করুক আমিন।
তাছাড়া অধিকাংশ নারীর
নেক আমলে দেখা যায় শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্য। কোন কোন পুত্রবধূ আমল করেন শ্বাশুরির ভয়ে, কিংবা লোকে কি বলবে, এভয়ে তারা আমল করে। যেখানে আল্লাহর ভয় থাকে না আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত থাকে না। আর যার ফলে তার
আমল ছোয়াব শুন্য হয়ে যায়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ
ফরমান ৯৯ জন নারীর মধ্যে একজন শুধু জান্নাতে যাবে। আর বাকি সবাই জাহান্নামে যাবে।
এ হাদিসের আলোকে
যা আলোচনা করা হলো তা নারীদের জন্য খুবই জরুরী। আশা করি আমাদের মা-বোনেরা এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করবেন। আমি জানি আমাদের এই দেশে
স্বতি-সাধী, পরেজগার, ফরমাবরদার, রোজাদার, ধৈর্যশীলা, সৎকর্মপরায়ন নারী রয়েছেন। যারা আমাদের মা বোনদের মধ্যে আদর্শ।
আমরা চাই বিপথগামী হয়ে গিয়েছেন, যারা এ সকল অন্যায়ের সাথে জড়িত আছেন, তারা আপনাদের এই ভুলগুলো শুধরে নিবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউসের জন্য কবুল
ও মঞ্জুর করে নিবেন। আমিন।
……………………………………………………………………………….
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহী ওয়া বারকাতুহু
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী
স্বামী
স্ত্রীর সম্পর্ক কতটা গাড় তার প্রমাণ পবিত্র কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন; তারা তোমাদের পোশাকস্বরুপ, এবং তোমরাও তাদের পোশাকস্বরূপ” সুরাহ
বাক্বারা আয়াত ১৮৭।
তিনি
আরও বলেন; তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন কর” সুরাহ নিসা আয়াত ১৯।
একজন
নারী স্ত্রী হয়ে স্বামীর ঘরে আসার পর থেকে স্ত্রীর সমস্ত দায় দায়িত্ব স্বামীর উপর
বর্তায়। দুজনে একে অপরকে যতটা মানিয়ে নিয়ে ভালোবাসা গভির করতে পারবে, সংসারে ততোটা
সুখের হবে।
মনে
রাখতে হবে, প্রত্যেক স্ত্রী স্বামীর কাছে এমন কিছু আশা করে, যা সে মুখে বলতে পারে
না। কিন্তু স্বামীকে তা বুঝে নিতে হয়।
তার
মধ্যে থেকে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া তার সাথে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর একটি
গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া এই ভিডিওর মাধ্যে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
আজেক
ভিডিওটি প্রত্যেক বিবাহিত নারী ও পুরুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিও এবং
যারা বিবাহ করেন নি, ভবিষ্যতে যেনে রাখার স্বার্থে তাদের জন্যও ভিডিও টি সমান ভাবে
গুরুত্বপূর্ণ।
তাই
ভিডিওটি না টেনে শেষ পর্যন্ত দেখুন। আর শেষ পর্যন্ত না দেখলে অনেক কিছু মিস করে
ফেলবেন।
তো
চলুন শুরু করা যাক।
একজন
স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে ৪টি বিষয় খুব বেশি চায়। আর তা হলো ১ নাম্বার স্বামী যেন
তার সাথে ভালো আচরণ করে। প্রত্যেক স্ত্রী চায় তার স্বামী যেন তার সাথে খুব ভালো
আচার ব্যবহার করে।
আর
এটা বাস্তব যে, স্ত্রীকে নরমসুরে আদেশ করলে সে সেটা শুনে। কিন্তু কড়া ভাষায় জোড়
পূর্বক কোন আদেশ বা হুকুম করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা শুনে না।
অনেক
স্বামী হয়তো ভেবে থাকেন যে, কড়া ভাষায় কথা বললেই গড়ম দেখিয়ে তার উপর হুকুম জারি
করবো। কিন্তু তাতে হীতে বিপরিত হতে পারে। কর্কশ ভাবে কথা বরে, জোরপূর্বক আদেশ করা
মোটেও ঠিক নয়। হাদিস শরীফে আছে হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে
বর্ণিত; আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের জন্য ময্গলকামী হও।
কারণ
নারীকে পাজরের হার থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের চরিত্র বাকা হাড়ের মতো। আর
পাজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশি বাকা হলো তার উপরের অংশ, যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও
তাহলে ভেঙ্গে যাবে।
আর
যদি তাকে ছেড়ে দাও, তাহলে তো বাকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য কল্যানকামী হও।
সহীহ বুখারী হাদিস নাম্বার ৩৩৩১, তিরমিযি হাদিস নাম্বার ১১৮৮।
মুসলিম
শরীফের আরেক বর্ণনায় আছে, মহিলাকে পাজরের বাকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে কখনও
একভাবে তোমার জন্য সোজা থাকবে না।
অতএব
তুমি যদি তার কাছ থেকে উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাকা অবস্থাতেই হতে হবে। আর যদি
তুমি তা সোজা করতে চাও তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা হলো, তালাক
দেওয়া। মুসলিম হাদিস নাম্বার ১৪৬৮।
উক্ত
হাদিস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম, স্বামী নম্রভাবে ভালোবেসে স্ত্রীর কাছ থেকে অনেক
উপকার লাভ করতে পারে। তবে জোরপূর্বক যদি উপকার পেতে চাই। তাহলে স্বামীর
ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমন ক্ষতি হতে পারে, যে শেষ পর্যন্ত বিবাহ বন্ধন বিচ্ছেদ
ঘটতে পারে।
দ্বিতীয়
নাম্বার স্বামী যেন খুব বেশি স্ত্রীর প্রতি খেয়াল রাখে। মাতাপিতা আত্মিয়স্বজনদের মায়ার বন্ধন ছেড়ে একজন স্ত্রী স্বামীর ঘরে আসে।
শুধুমাত্র স্বামীর ভরসায়। স্ত্রী চায় স্বামী যেন তাকে খুব বেশি ভালোবাসে এবং সবসময়
তার খেয়াল রাখে। কিন্তু এ কথা সবাই মুখে বলতে পারেনা। স্বামীকে তা বুঝে নিতে হয়।
স্ত্রীর খেয়াল রাখা তাকে ভালোবাসা একজন স্বামীর জন্য বিশেষ দিায়িত্ব।
তিন
নাম্বার স্বামী যেন স্ত্রীর পিতা-মাতাকে ভালোবাসে। প্রত্যেক স্ত্রী চায় বিয়ের পর
তার স্বামী যেন তার পিতা-মাতা অর্থাঃ শ্বশুর শাশুরী ও তার পিতা-মাতার দিক থেকে
সমস্ত আত্মীয়দের সাথে সব সময় সু সম্পর্ক রাখে।
সত্যি
তো এটাই যে, নিজের পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজন দের সাথে যেমন সুসম্পর্ক রাখা, তাদেরকে
সম্মান করা, তাদেরকে ভালোবাসা যেমন জরুরী বিষয়, তেমনিভাবে স্ত্রীর পিতা-মাতা ও
আত্মীয় স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা, তাদের সম্মান করা, তাদের ভালোবাসাও অত্যান্ত
জরুরী।
কিন্তু
অনেক স্বামী আছেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে তার পিতা-মাতা ভাই বোন ও আত্মীয় স্বজনদের
বাড়ী যেতে বাধা প্রদান করে, এটা ঠিক নয়। তবে হ্যা, স্ত্রী যদি সে যায়গায় গিয়ে
ইসলাম বিরোধী কাজ করে, আর এটা ভয় থাকে যে, স্ত্রী খুব ঘনঘন সেখানে গেলে সে, ইসলাম
বিরোধী কোন অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে, তাহলে সে সময় স্ত্রীর হেফাজত করা
স্বামীর দায়িত্ব।
সেক্ষেত্রে
স্ত্রীকে সেখানে যাওয়া থেকে বাধা প্রদান করা যেতে পারে। তবে এমনি খালি খালি রাগ
করে, কিংবা সন্দেহ বসতঃ অথবা কোন কারণ ছাড়া স্ত্রীর সাথে আত্মীয় স্বজনের মায়ার
বন্ধন নষ্ট করা কঠিন বড় অপরাধ ও গুনাহের কাজ।
চতুর্থ
নাম্বার হলো: স্ত্রীর হাত খরচ দেওয়া। স্ত্রীদের ব্যক্তিগত স্বাজসজ্জা কিংবা
অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিস ক্রয় করার জন্য অনেক সময় টাকার প্রয়োজন পরে। সেক্ষেত্রে
অনেক স্ত্রী লজ্জার কারণে স্বামীর কাছে টাকা চাইতে ইতস্ততা বোধ করে। সেক্ষেত্রে
প্রত্যেক স্বামীর উচিৎ হবে; স্ত্রী না চাইতেই, তাদের হাত খরচের জন্য প্রতি মাসের
শুরুতে আগে থেকেই কিছু টাকা দিয়ে রাখা। এতে করে স্ত্রী আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকবে।
এবং সংসারো সুখের হবে।
এছাড়াও
যে কারণটি না বললেই নয়, সেটি হলো অনেক স্ত্রী নিজের শারীরিক চাহিদার কথা স্বামীকে
মুখ ফুটে বলতে পারে না। আবার স্বামীর অসর্তকতা ও অক্ষমতার কারণে স্ত্রীর যে চাহিদা
পূরণ হচ্ছে না, সেটাও অনেক স্ত্রী বলতে পারে না, ভয় বা লজ্জা থেকে। কিন্তু স্বামীর
যদি এমন কোন শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে স্বামী নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়ে একজন ভালো
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জৈবিক ক্রিয়া সম্পাদন করা স্বামীর জন্য
একান্ত কর্তব্য।
এ
সমস্যার কারণে বর্তমানে পারিবারিক কলহ বেড়ে যাচ্ছে, এমনকি অহরহ সংসার ভেঙ্গে
যাচ্ছে। তাই সময় থাকতে প্রত্যেক স্বামীকে সাবধান হওয়া জরুরী।
আল্লাহু
সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে যেন বুঝার তৌফিক দান করেন আমিন।
সুপ্রিয়
দর্শক দাওয়াতি কাজের স্বার্থে ভিডিওটি শেয়ার করে দিন। এবং আপনি যদি এই প্রথমবার
আমাদের ভিডিও দেখে থাকেন তাহলে আমাদের চেনেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। এবং পাশে
থাকা বেল আইকনটি ক্লিক করে রাখবেন।
আল্লাহ
সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে যেন সুস্থ্য রাখেন, সুন্দর রাখেন,
নিরাপদে রাখেন, এই কামণায় আজকের ভিডিওটি এখানেই সমাপ্তি।
আস্সালামু
আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

