টয়লেটের ভিতরে ভুলেও পাচটি কাজ করবেন না।
সাবধান! গোসলের সময় এ চারটি ভুল কখনই করবেন না। যদি এই চারটি ভুল আপনি
করেন, তাহলে ভয়ংকর বিপদ হতে পারে। প্রিয় দর্শক আজকের ভিডিওটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি
ভিডিও। তাই ভিডিওর প্রত্যেকটি কথা মনে রাখার চেষ্টা করবেন। ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন।
এক নম্বর হচ্ছে; যখন গোসল করতে ঢুকলাম তখন এই দোয়াটি অবশ্যই পাঠ করবো।
কোন ভাবেই ভুলে যাওয়া চলবে না। দোয়াটি হলো; “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবশি
ওয়াল খাবাই “ অর্থ; হে আল্লাহ! তোমার কাছে নাপাক নর-নারী জীন শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থণা
করি। সুবহান আল্লাহ।
এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন। এই দোয়াটিতো টয়লেটে ঢোকার সময় পড়তে হয়।
কিন্তু গোসল করতে গেলে এই দোয়াটি আমরা কেন পড়বো? এর কারণ হলো আমাদের দেশে অধিকাংশ যায়গায়
গোসলখানা এবং টয়লেট একসাথে থাকে। এজন্য যাদের টয়লেট এবং গোসলখানা একসঙ্গে এটাস্ট করা,
তারা অবশ্যই বাথরুমে ঢোকার সময় এ দোয়াটি পড়বেন।
কিন্তু এই দোয়াটি পাঠ করলে কি হয়? বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন; জীনেরা টয়লেটের মধ্যে, ময়লার মধ্যে বা দুর্গন্ধযুক্ত জায়গায় সবচেয়ে বেশি
থাকে। তাই তোমরা যখন এই দোয়াটি পাঠ করবে, তখন আল্লাহ রব্বুল আলামিন তোমাকে হেফাজত করবে।
যেহেতু তুমি আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করেছো। সুতরাং এই দোয়াটি পড়ার ফলে
গোসলখানায় থাকা দুষ্ট জীন আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
দুই নাম্বার হচ্ছে, যে বাড়ীতে গোসলখানা এবং টয়লেট একসঙ্গে আছে, সে টয়লেট
গোসলখানাতে কোরআনের কোন আয়াত বা হাদিস নিয়ে প্রবেশ করবেন না। যেমন আপনার লকেটে আল্লাহ
তায়ালার নাম লেখা আছে, সুতরাং ওই লকেট নিয়ে গোসল খানায় বা টয়লেটে প্রবেশ করবেন না।
এ জাতীয় আল্লাহ কিংবা মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ নাম সম্বলিত লকেট পড়ার বেপারে আলেম ওলামাদের
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এছাড়া আপনার আংটিতে আল্লাহ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
নাম যদি থেকেও থাকে। ওই আংটি নিয়ে আপনি টয়লেটে ঢুকতেই পারবেন না। যে গোসলাখানা টয়লেট
এক সঙ্গে রয়েছে, সেখানে তো অবশ্যই না।
তবে হ্যা, যদি এমন গোসলখানা হয়, যেখানে টয়লেট নেই শুধু গোসলখানা, সেখানে
চাইলে আপনি সে আংটি পকেটে সিয়ে ঢুকতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না।
তিন নম্বর হচ্ছে; উলঙ্গ হয়ে গোসল করবেন না। উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে এর ফলে
যে বিপদটি হয় সেটি হলো; উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে লজ্জা কমে যায়। আর যার লজ্জা কমে যায়,
তার আস্তে আস্তে ঈমান কমে যায়। এবং তার নূর কমে যায়। ফলে সে লোকটি অতি তারাতারি যেকোন
গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। এতে করে সে গুনাহকে ভয় করে না এমনকি বেঈমান হয়ে মৃত্যু
বরণ করার আশংকা থাকে। এজন্য কখনই উলঙ্গ হয়ে গোসল করবেন না।
চার নম্বর হচ্ছে; টয়লেটের ভেতরে ঢুকে কুরআন তিলাওয়াত বা জিকীর করবেন না।
যে বাড়ীতে টয়লেট এবং গোসলখানা এক সঙ্গে, ওই গোসলখানায় মধ্যে ঢুকে কখনোই জিকির করবেন
না। এমনিতে তো টয়লেটের ভেতর ঢুকে কোরআন তিলাওয়াত বা জিকির করা না জায়েজ। এখন অনেকে
বলতে পারেন, গোসলখানার ভেতরে তো টয়লেট নেই, সেখানে কি আমরা জিকির করতে পারবো? এর উত্তর
হলো কখনই না।
তাই এই কাজগুলো কখনই করবেন না। কারণ আমরা মুসলমান জাতী তাই আমরা চলবো
আমাদের রবের হুকুম মোতাবেক, এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত
মোতাবেক। যদি আল্লাহ এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত মোতাবেক
চলতে পারেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার কোন বিপদ নেই। আর যদি কোন বিপদ আসেও সে বিপদে অবশ্যই
আপনার জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে। সে বিপদ হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে
আপনার জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।
আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলে গিয়েছেন, অবশ্যই তা
আমাদের কল্যাণের জন্য বলেছেন। আপনি যদি কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলেন অবশ্যই আপনার জীবন
সুন্দর হয়ে যাবে। এতে করে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হেফাজত করবে। আর
জীন জাতি তিনটি জায়গাতে থাকে। এর মধ্যে একটি জায়গা হলো; টয়লেট এছাড়া প্রস্রাবখানা,
নর্দমা, অথবা ময়লা-আবর্জনা যেখানে ফেলা হয়, ঐসকল জায়গাতে জীনেরা বসবাস করে।
তাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা যদি দোয়া পড়ে
টয়লেটে প্রবেশ করো, তাহলে তোমাদের বিপদের কোন আশংকা নেই। অবশ্যই তোমার রব তোমাকে হেফাজত
করবে। আর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো অবশ্যই আমাদের কল্যাণের জন্য এই
পৃথিবীতে এসেছেন। এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো গোটা জিন্দেগী শুধু
মাত্র তার উম্মতের কল্যাণের জন্যই কাজ করে গিয়েছেন।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন গোসলখানা অথবা টয়লেটে যাওয়ার সময় আমাদেরকে
সতর্কতা অবলম্বন করার তৌফিক দান করুক, আমিন।