ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে মুজিববর্ষের ছবি। রাত পোহালেই বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষ উদ্যাপন শুরু করা হবে। শ্রেষ্ঠ এই গৌরবের উপলক্ষ সামনে রেখে এখন চলছে জোর প্রস্তুতি। বছরব্যাপী আয়োজন শেখ মুজিব নামটির ওপর নতুন করে আলো ফেলবে না শুধু, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি-সাহস যোগাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উৎসবের আগে সারাদেশেই শুরু হয়ে গেছে প্রাক-উৎসব। সরকারী ও বেসরকারীভাবে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। একই উপলক্ষ সামনে রেখে ১৮ মার্চ জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বাঙালীর মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। ইউনেস্কোসহ বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোও মুজিববর্ষ উদ্যাপন করবে।
মূল উৎসব শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে। চলবে পরের বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত। মাঝখানের পুরো সময়টাকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বছরব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করা হবে। গান, কবিতা, নৃত্যায়োজন, নাটক, সিনেমাসহ সব মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে বঙ্গবন্ধুর কীর্তি।
সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন, রাজনীতিবিদ, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। আর মুজিববর্ষ উদ্যাপনে হাতে নেয়া অযুত যতকর্মসূচীর সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’। সরকারীভাবে গঠিত কমিটি সারাদেশের সব উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করছে। বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের নিয়ে গঠিত কমিটি দিচ্ছে নানা পরামর্শও।